• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দুই ভাইকে অস্বীকার করে নামজারির মাধ্যমে  সম্পত্তি আত্মসাত


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ:
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
দুই ভাইকে অস্বীকার করে নামজারির মাধ্যমে  সম্পত্তি আত্মসাত

শরীয়তপুরে একই পিতার জন্মের দুই ভাইকে অস্বীকার করে এবং তথ্য গোপন করে অপর  তিন ভাই তাদের পিতার মৃত্যুর পর  নামজারির মাধ্যমে পুরো সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন কাশেম বেপারী, জয়নাল বেপারী এবং আয়নাল বেপারী  । সরজমিন ঘুরে এবং স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ৪১ নং কুরাশি  মৌজায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত হযরত আলী বেপারী সংসার জীবনে তৃতীয় বিবাহ করেন।সংসার জীবনে তিন স্ত্রীর ঘরে ওরস জাত সন্তান  হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন পাঁচ ছেলে এবং দুই মেয়ে।হযরত আলীর বেপারীর পাঁচ ছেলের মধ্যে  হাসেম বেপারী এবং দলিল উদ্দিন বেপারী সংসারের অভাবের কারণে ঢাকায় গিয়ে পাড়ি জমান এবং জীবিকা নির্বাহ  করেন।পিতা হযরত আলী বেপারীর মৃত্যুর পর গ্রামে বসবাসরত কাশেম বেপারী,  জয়নাল ব্যাপারী ও আয়নাল  বেপারী ঢাকায় বসবাসরত দুই ভাইকে অস্বীকার করে  পালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার আনোয়ার চৌকিদারের মাধ্যমে বিপুল অর্থের ঘুষের বিনিময়ে পালং ইউনিয়ন থেকে একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করেন।তখন পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন গগন  খাঁ ।পিতা হযরত আলী বেপারীর মৃত্যুর পর  কাশেম বেপারী, জয়নাল বেপারীএবং আয়নাল ব্যাপারী ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে পালং ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ৪১নং কুরাশি মৌজার ২৯৪  নং খতিয়ানের ১.১৯ একর সম্পত্তি তাদের নামে নাম জারি করেন।ঢাকায়  বসবাসরত হাসেম বেপারী এবং  দলিল উদ্দিন বেপারী ২০০৮ সালে পালং এসিল্যান্ড অফিসে নামজারি বাতিলের আবেদন করেন।নামজারি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনের তদন্ত প্রতিবেদন  তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদীর পক্ষে দেন।২০০৮ সালে তদন্ত প্রতিবেদনে সাক্ষী দেন জমি আত্মসাৎ কারি বিবাদীপক্ষ কাশেম বেপারী  ও স্থানীয় মুরুব্বী আনিস উদ্দিন  মুন্সি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।।দলিল উদ্দিন বেপারীর মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে তার স্ত্রী এবং তার ছেলেমেয়েরা ভূমি রাজস্ব বিভাগে উকিলের মাধ্যমে নামজারি বাতিলের আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পালং ভূমি অফিস এবং এসিল্যান্ড অফিসের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের পর মামলা নাম্বার দেওয়া হয়েছে। মামলা নং  ১৩৬/২৩-২৪।

মামলার বাদী  পক্ষের উকিল গণমাধ্যমকে বলেন, এই মামলার প্রথম তারিখে বিবাদী পক্ষ উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তী তারিখ ২০/৫/২০২৪ । কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের কারণে ২৩ তারিখ পর্যন্ত শুনানি  বন্ধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারলাম বিবাদী পক্ষের না রাজি মঞ্জুর করেন।এবং পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে এমনকি পরবর্তী তারিখ দেড় মাসের মাথায় ফালানো হয়েছে। এইসব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।আমার বিবাদী পক্ষের উকিল  আমাকে সিন  করে নাই।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি রাজস্ব বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীর কারণে সঠিক বিচার এবং অধিকার আদায় ব্যর্থ হয়। পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গগন খা গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার  আনোয়ার চৌকিদার কারো নাম বাদ দিয়ে যদি আমার কাছ থেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে থাকে সেই দায় দায়িত্ব তার, আমার না।মামলার বাদী দুলাল বেপারী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে IX-P-I-১৬০১/২০০৭-২০০৮ নং নামজারি বাতিলের মামলা করি।মামলা করায় বিবাদীপক্ষ আমার চাচারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং প্রান্নাশের হুমকি দিচ্ছে এমনকি মামলা থেকে সরে যাওয়ার জন্য  বিভিন্ন পায়তারা চালাচ্ছে।


Side banner

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!